বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের পাইকারি বাজারকে স্থানান্তর করা হল প্রশাসনের উদ‍্যোগে

26th April 2020 বাঁকুড়া
বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের পাইকারি বাজারকে স্থানান্তর করা হল প্রশাসনের উদ‍্যোগে


তৌসিফ আহমেদ ( ইন্দাস ) : প্রশাসনের উদ্যোগে সোনামুখী শহরের পাইকারি মাছের বাজারকে সোনামুখী পৌর ময়দানে স্থানান্তরিত করা হলো । 

এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে আতঙ্কের আরেক নাম নোবেল করোনাভাইরাস । এই ভাইরাসের কবলে পড়ে আজ গোটা বিশ্ব জর্জরিত । ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখা এবং প্রতিটি সাধারণ মানুষের মাক্স আবশ্যিক । 

আর সে মতোই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আজ সোনামুখী থানা ও পৌরসভা এবং সোনামুখীর চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে সোনামুখী শহরের পাইকারি মাছের বাজার সোনামুখী চৌমাথা থেকে সরিয়ে সোনামুখী পৌর ময়দানে স্থানান্তরিত করা হল । এতদিন  পর্যন্ত সোনামুখী চৌমাথায় মাছের পাইকারি বাজারে জমায়েত হচ্ছিল ফলে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা । তাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এবং করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে প্রশাসনের এই বিশেষ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সাধারণ মানুষ । 

লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই সোনামুখী থানা ও পৌরসভা এবং সোনামুখী চেম্বার অব কমার্স মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । সোনামুখী শহরের এবং সোনামুখী ব্লক এর বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় সাধারণ মানুষদের চাল ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে সোনামুখী থানা পক্ষ থেকে । এছাড়াও কালোবাজারি রুখতে সোনামুখী পুলিশ প্রশাসন সদা সতর্ক রয়েছন । প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে সোনামুখীর নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঠিক মূল্য রয়েছে ফলে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে উপকৃত হচ্ছেন শহরবাসী ও শহরের আশেপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ । এর পাশাপাশি মাছের বাজারে আসা সকল সাধারণ মানুষকে মাক্স বিলি করা হয় এবং সকলকে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখার অনুরোধ করা হয় প্রশাসনের তরফে । 

আজকের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাননীয় গনেশ বিশ্বাস , সোনামুখী থানার সিআই তুলসীদাস ভট্টাচার্য এবং সোনামুখী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মাননীয় আব্দুস সামাদ আনসারী মহাশয় , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনামুখী চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক মলয় পাল ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।